এসএসসিতে (SSC) ২৬০০০ শিক্ষক- শিক্ষিকার চাকরি বাতিল নিয়ে এবার অভিজিৎ গাঙ্গুলী, বিকাশ ভট্টাচার্যদের এক হাত নিলেন রাজ্যের পুর ও নগর উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়াতে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের সাংস্কৃতি উৎসবে উপস্থিত হন ফিরহাদ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “এই অভিজিৎ গাঙ্গুলী, বিকাশ ভট্টাচার্যরা শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে। সুতরাং তাদের গ্যাস খাইয়ে এবং কুমিরের কান্না করে কোনো লাভ নেই। আমাদের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটার জন্য লড়াই করছেন এবং করবেন। মুখ্যমন্ত্রীর ওপর আপনারা ভরসা রাখুন।”
বুধবার বিভিন্ন জেলায় জেলায় ডিআই অফিসের বিক্ষোভ দেখান বাতিল হওয়া শিক্ষক- শিক্ষিকারা। সে নিয়ে ফিরহাদ বলেন, “আপনাদের কাজ হচ্ছে পড়ানো। আপনাদের যাতে কাজ থাকে সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের। আপনারা এতো বিক্ষোভ না করে আপনারা আপনাদের কাজটা করুন। ফেসবুক, টুইটারের গ্যাস খেয়ে কোন লাভ হবে না।” জঙ্গিপুরের বিষয় নিয়ে ফিরহাদ বলেন, “ওখানে কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিরোধী দলনেতার গ্যাসে ওখানে কিছু মানুষ বেপথে গেছে। তারা জনজীবন ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। বিজেপি বাংলার শান্ত পরিস্থিতিকে অশান্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এভাবে বাংলাকে দখল করা যাবে না। শিক্ষকদের গ্যাস খাওয়াবেন না।” এদিন মঞ্চ থেকেও বিজেপিকে একহাত নেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, “এমএসএমইতে বাংলা প্রথম স্থানে রয়েছে। প্রশ্ন উঠতে পারে ভারী শিল্পায়নে কেন প্রথম নয়। তার কারণ, ভারী শিল্পের জন্য কেন্দ্রের যে আশীর্বাদ লাগে সেটা শুধুমাত্র গুজরাট পেয়েছে। বাকি কোনো রাজ্য পায়নি।”
বাংলায় শিল্পের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজনেস সামিটে ৪.৪ লক্ষ কোটি বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। ১৩ লক্ষ কোটি টাকার ইমপ্লিমেন্টেশন হয়ে গেছে। বাদবাকি কিছু কিছু আটকে রয়েছে সেগুলোর কাজ হচ্ছে। এ বছর সাড়ে ৪ লক্ষ কোটি টাকার প্রোপজাল এসেছে। অশোক নগরে তেল উত্তোলন হচ্ছে। সুতরাং বাংলায় এবার তেল পাওয়া যাবে। মুকেশ আম্বানি আমাদের পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার লগ্নির প্রস্তাব দিয়ে গেছেন।” তিনি আরো বলেন, “সাম্প্রদায়িক বিভাজন যারা করে তারাও এই সরকারকে নড়াতে পারবে না। তার কারণ, হিন্দু, মুসলিম, শিখ, এরা সবাই ভাই ভাই। এক সঙ্গে বাংলায় শান্তিতে থাকতে চাই। এটাই আমাদের ব্রত। হতাশার জায়গা নেই। লড়াই করতে হবে। এগিয়ে যেতে হবে। আমরা এগিয়ে এসেছি।”